Published: 7/28/2025
কার সন্তান কখন হবে, কিংবা আদৌ হবে কি না—এটি সম্পূর্ণই আল্লাহর সিদ্ধান্ত। এবং সন্তান হওয়ার পথে কোন কোন বাঁধা আসবে সেটাও তারই ফয়সালা।
আপনি হয়তো দীর্ঘদিন থেকে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু কোনোভাবেই কনসিভ হচ্ছে না।কিংবা কনসিভ হলেও বারবার কোনো কারণ ছাড়াই মিসক্যারেজ হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার দেখাচ্ছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন—কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছে না; এমনকি বাচ্চা না হওয়ার মতো কোনো কারণও ফাইন্ড আউট হচ্ছে না।
এমন বহু দম্পতির রুকইয়াহ করে দেখা গিয়েছে, তারা মূলত সন্তান না হওয়ার যাদু এবং জ্বীন কেন্দ্রিকবসমস্যায় আক্রান্ত!
কীভাবে বুঝবেন, আপনার সন্তান না হওয়ার পেছনে জ্বীন-যাদুর কোনো প্রভাব আছে কি না!
আপনার যদি—
১. অনিয়মিত পিরিডের সমস্যা
২. মেডিকেল কোনো ইস্যু ছাড়াই পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা বা ভারী অনুভব হওয়া।
৩. মাথা ব্যথা কিংবা মাথায় যন্ত্রণা হওয়া
৪. মেরুদণ্ডে ব্যথা হওয়া
৫. বারবার কোনো কারণ ছাড়াই মিসক্যারেজ হয়ে যাওয়া; বিশেষ করে মিসক্যারেজ হওয়ার আগে স্বপ্নে মিসক্যারেজ হতে দেখা বা ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা
৬. মহিলা বা পুরুষের হঠাৎ করে যৌন দুর্বলতা অনুভব করা।
৭. স্ত্রীর মনে স্বামীর প্রতি ঘৃণা তৈরি হওয়া অথবা শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা।
৮. ঘুমে স্বপ্নে সাপ, কুকুর, বিড়াল, অথবা অদ্ভুত প্রাণী দেখা।
৯. হঠাৎ হঠাৎ দুর্গন্ধ অনুভব হওয়া ইত্যাদি
এই লক্ষণগুলোর বেশকিছু লক্ষণ যদি আপনার মধে থাকে এবং এর সঙ্গে জ্বীন-যাদুর অন্যান্য কিছু লক্ষণও মিলে যায়, তাহলে আপনার উচিত, মেডিকেল ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি অবশ্যই সঠিক উপায়ে রুকইয়াহ করা। এবং সকল কুসংস্কার ও শিরকি তাবিজ-কবচ থেকে বিরত থেকে নিজের ঈমান ও আমলের হিফাজত করা । মনে রাখবেন, সমস্যার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে, সে অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করলেই কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব। অন্যথায় শুধু হতাশা আর অপেক্ষার প্রহরই বাড়বে...
হাদিসের কিতাবগুলো মুসলিমদের জন্য হেদায়েত এবং অনুপ্রেরণার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই কিতাবগুলো মহানবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম)-এর সীরাত(জীবনী) ও দিক-নির্দেশনার প্রতি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।