Published: Invalid Date
আপনি কি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ? শারীরিক কিংবা মানসিক বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন একেরপর এক? কিন্তু মেডিকেল রিপোর্টে সব কিছু নরমাল আসছে বারবার? নামিদামি হসপিটাল, ক্লিনিক ও ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়েও আপনার অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না? বাধ্য হয়ে ডায়াগনোসিস ছাড়াই দিনের পর দিন আন্দাজে ওষুধ খেতে হচ্ছে এখন?
আপনার সমস্যা যদি এমনই হয়, তাহলে আপনি আরেকবার নতুন করে ভাবতে পারেন। সমস্যাগুলো কি আসলেই শারীরিক কিংবা মানসিক—নাকি বদনজর, যাদু কিংবা ওয়াসওয়াসা ইত্যাদি প্যারানরমাল কিছুর প্রভাব আছে এর পেছনে? কারণ—
জাবের রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
العين تدخل الرجل القبر وتدخل الجمل القدر
অর্থাৎ, বদ নজর মানুষকে কবর পর্যন্ত পৌছে দেয় এবং উটকে পাতিলে । (সহিহ আল জামে: ১২৪৯)
অর্থাৎ মানুষের নজর লাগায় সে মৃত্যুবরণ করে, যার ফলে তাকে কবরে দাফন করা হয়। আর উটকে যখন বদ নজর লাগে তখন তা মৃত্যু পর্যায়ে পৌছে যায় তখন সেটা যবাই করে পাতিলে পাকানো হয় ।
আরেক বর্ণনায় এসেছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
أكثر من يموت من أمتي بعد قضاء الله وقدره بالعين
অর্থঃ আমার উম্মতের মধ্যে তাকদীরের মৃত্যুর পর সর্বাধিক মৃত্যু বদ নজর লাগার দ্বারা হবে। (মুসনাদে বাযযার)
সুতরাং আপনার শারীরিক ও মানসিক সমস্যা যেহেতু মেডিকেল চিকিৎসাতেও সারছে না, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সমস্যাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না—তাই আপনার উচিত সমস্যার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা। আপনি জ্বিন-যাদু কিংবা বদনজরে আক্রান্ত হলে সে অনুযায়ী শরিয়াহসম্মতভাবে রুকইয়াহ করলে উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
হাদিসের কিতাবগুলো মুসলিমদের জন্য হেদায়েত এবং অনুপ্রেরণার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই কিতাবগুলো মহানবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম)-এর সীরাত(জীবনী) ও দিক-নির্দেশনার প্রতি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।